এ ভাবেও বাঁচা যায়

জীবন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে
সে বেঁচেছিল।
হৃদয়ে ছিল এক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
নিঃশ্বাসে ছিল কালবৈশাখী।
তবু যখন সে ভালবেসেছে
সে বয়েছে পাহাড়ি ঝর্না মতো
ছন্দময়, নির্ভীক ছিল তার প্রেম।
যে পেয়েছে, সে জেনেছে তার অনুভূতি।

তবু অস্থির ছিল সে
নিজেকে কোন তীরেই বেঁধে রাখতে পারেনি;
ভাঁটার টানে সে ভেসে গেছে সমুদ্রের পানে।
বাঁধতে চেয়েছে অনেকে
বাঁধা সে পড়েনি;
নিজেকে চেনার তাগিদে সে সব তুচ্ছ করে
অনন্তে মিশেছে। অস্পষ্ট হয়েছে।
চিতা কাঠ তাকে গ্রহণ করেনি
নিজেকে সে পুড়িয়েছে নিজেরই আগুনে।

একলা মেঘ

মানুষ কখনও দ্বীপ হতে পারে না

তবু কখন না চাইতেও তাকে দ্বীপ হতে হয়।

যে ভাবে অনেক মানুষের মাঝে থেকেও মানুষকে একা হতে হয়।

এক টুকরো বৃষ্টিহীন মেঘের মতন তাকেও ভাসতে হয়

কোন এক অজানা পথে।

যে পথ কোনদিন ভিজিয়ে ছিল সে, শ্রাবণের দিনে

আজ সে পথ তার কাছে কোন দাবি রাখে না, আশা রাখে না।

তবু বিশ্বাস

এ শরীরে আবার বারি বিন্দু সঞ্চিত হবে

আবার কোন শ্রাবণের বিকেলে,

নিঃশেষিত হবে সে জল -

জল, যে জল ছিল, তাই তোমরা ছিলে

জল, যে জল নেই, তাই একা এই পথ

জল, যে জল আবার জন্ম নেবে বলে স্বপ্ন দেখা। 

তারাদের কবিতা

আজকে আঘাত, দূরে সারিয়ে রাখো
আজকে শুধু অবজ্ঞা আর অবহেলা।
ঘুরে ঘুরে শুধু তোমার কাছে আসা
তোমায় একটু কাছে পাওয়ার আশা।

প্রতিরাতে শব্দ খুঁজে বেড়াই
ঘুম আসেনা গভীর হল রাত,
ভোরের আগে ছন্দ পেতে হবে
মিলবে তবে তোমার সাক্ষাৎ।
এ ভাবেই বুঝি জন্ম নেয় তারা
প্রচণ্ড বাস্পের তাপে আর চাপে,
তবু মেলেনি ঠাই তোমার আকাশে আজও
তুমি দেখেছ তারার খসে যাওয়া।

আশা যাওয়া

শব্দরা শুধু মোর পানে ধায়

কথা তবু দাঁড়ায় না,

ছন্দ খালি ফিরে ফিরে চায়

গান তবুও সুরে বাজে না

ঢেউ এর পর ঢেউ আসে আর যায়

সাগর তবু বুকে টানে না।

তুলি আর রঙ হাতে নিয়ে আজ

আঁকবো ছবি পরে থাক কাজ।

আঁকবো জীবন, আঁকবো মরণ

একই ক্যানভাসে তারা রাখবে চরণ,

এক যদি হয় সত্য সুন্দর

আর একজন শুধু কঠিন সত্য।