তেমাথার লাল সিগনালে
হঠাৎই সুনীলের সাথে দেখা-
আরে সুনীল, কতদিন
বাদে।
অবনী! কি ভায়া কেমন
আছিস?
চলেই যেতাম, শুধু
শেষ যাত্রা হল না।
কেন, কি হয়েছিল?
বাড়িতে স্ট্রোক,
তারপর ছয় মাস বিছানাতে
মৃত্যুর সাথে লড়াই, ডাক্তারের
ভুল ট্রিটমেন্ট
তবু কি ভাবে যেন
বেঁচে গেলাম।
কিন্তু এই শরীরে
চাকরীটা আর হল না -
অগত্যা পৈতৃক জমিটা দিতে
হল প্রমটারের হাতে।
ছাড় আমার কথা। তোর
খবর বল। তোর মেয়ের বিয়ে হয়েছে?
আর ছেলে? তার খবর
কি? কি করছে এখন?
ছেলে এখন বিদেশে।
বিয়ে করে সংসার পেতেছে।
তবে দেশে কবে ফিরবে
জানিনা। ফোনে কথা হয়।
চিন্তা মেয়েটাকে
নিয়ে। বিয়েত দিলাম টিকলো কই।
এখন থাকে আমার কাছে,
একটা প্রাইমারী স্কুলে পড়ায়।
ভয় হয় আমরা চলে গেলে
ওর কি হবে। কে দেখবে।
আবার বিয়ের কথা বলতে
সাহস পাই না।
মেয়ে বলে দাদাতো আর
ফিরবে না, তোমাদের কে দেখবে?
বলি ঈশ্বরতো আছেন,
তিনিই দেখবেন।
কিন্তু তোর জীবনটা
যে গোছানো হল না।
লাল বাতি সবুজ হয়,
তাই কথা আর এগোয়ে না।
জীবন তার চেনা গতি
নেয়।
শহরে তখন টিপটিপ করে
বৃষ্টি পড়ছে
আর নাগরিক জীবনের রঙ
লাগে শহরের রাজপথে।
No comments:
Post a Comment